বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অবিলম্বে পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে প্রবাসী কল্যাণ ভবন ঘেরাও করেছে কোরিয়া গমনেচ্ছু কর্মীরা।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরও অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইতালির 'ফ্লুসসি ডিক্রি' কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের পেন্ডিং ওয়ার্কিং (মুলতবি কর্ম) ভিসা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মী ও কর্মসংস্থান নিয়ে একটি চুক্তি সই করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এটা জানতে পারবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে একটি চুক্তি হচ্ছে।
২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যেতে না পারা কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। শুক্রবার (১ আগস্ট) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।
কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য প্রথমবারের মতো ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করেছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। ১ আগস্ট থেকে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হবে। নতুন ভিসার জন্য নিয়োগকারীর এই বেতন কাঠামো মানা বাধ্যতামূলক।
বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের শুরু থেকেই শীর্ষে আছে সৌদি আরব। এখন পর্যন্ত বিদেশে যাওয়া কর্মীদের ৩৪ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। চলতি বছরের মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে কাজের জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের ৭৩ শতাংশই গেছেন সৌদিতে। তবে এ শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সফর শেষে ঢাকায় হয়ে যাওয়া যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য না জানানো হলেও সিন্ডিকেট থাকার আভাস মিলেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত কয়েক দিন ধরে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীদের সঙ্গে দেশটির শ্রম বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
মালয়েশিয়া আগামী বছরগুলোতে 'বড় সংখ্যায়' বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মীদের বেতন, নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার আশ্বাসও দিয়েছে দেশটি।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণকারী বিদেশি নিয়োগ এজেন্টদের একটি চক্র আওয়ামী লীগ নেতাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফিজিতে নিয়োগকারী কর্তৃক অশোভন আচরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৬ বাংলাদেশি শ্রমিক। এ ঘটনায় ফিজির সরকারের কাছে অভিযোগ করেছে ১৩ জন বাংলাদেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিজি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এন্টি ডিসক্রিমিনেশন কমিশনার আলেফিনা ভুকি।
প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য আবারও খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী ১৪ মে মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছে একটি প্রতিনিধিদল। ২১ মে হবে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা।
ইতালি বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগ দিতে আগ্রহী এবং দেশটি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইউরোপে বৈধ পথে উন্নত জীবনের আশায় ইতালির ভিসার জন্য অপেক্ষায় আছেন প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমাণ এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে আজ সোমবার (৫ মে) থেকে। কারণ দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসি।
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও মালোয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিকের টাকা ফেরত দেওয়া এবং তাদের মালোয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার জন্য সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালে বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালে মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ জন বাংলাদেশি কর্মী বিদেশে গেছেন। আগের বছর ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১১ জন।